শেরপুর জেলার পরিচিতিমূলক স্লোগান। এটাকে কেন্দ্র করে কিছু প্রতিবেদন করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আজ তার প্রথম পর্ব..
তুলশীমালা আলোক সংবেদনশীল আমন প্রজাতির ধান। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্ট মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত এই ধান লাগানো হয়। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি ফুল আসে। ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ (অগ্রহায়ন মাসের মাঝামাঝি থেকে পৌষ মাসের শুরু) পর্যন্ত ধান কাটা হয়। প্রতি হেক্টরে ফলন বলন ছাড়া ২.৫০ থেকে ২.৭৫ মে. টন আর বলনে (প্রতি হেক্টর) উৎপাদন হয় ৩.০০-৩.২৫ মে. টন। বয়সকাল থাকে ১২৫-১৪০ দিন (বলান ও ফলনের ওপর নির্ভর করে)। ধানের রং কালচে ধূসর। ১০০০ ধানের গড় ওজন: গড়ে ১১ গ্রাম (শুকনা ধান)।
বৈশিষ্ট্য:-
তুলশীমালা ধান গাছের উচ্চতা ১১০-১৮৫ সেমি, গড় কুশির সংখ্যা ৮-১০টি। শীষের গড় দৈর্ঘ্য ২২-২৪ সেমি (বলনে শীষের দৈর্ঘ্য বেশি হয়)। শীষে দানার গড় সংখ্যা: ১৪০-১৮০ টি। এটি খরা সহিঞ্চু। সাধারণ নাবী জাত হিসেবে কৃষকরা আবাদ করে থাকে। আকষ্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বলন (ধান গাছ তোলে পুনরায় একই জমিতে লাগানো) করলে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ সাধারণত কম হয়। ঢলে পড়ার প্রবণতাও কম দেখা যায়। বলন করে চারা রোপন করলে চারার দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এক-থেকে দেড় ফুট গভীর পানিতেও রোপর করা যায়।
ব্যবহার:-
চাল সুগন্ধি, চিকন ও সুস্বাদু। পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, খিচুড়ি, ভাত, পিঠা, ফ্রাইড রাইস সহ অন্যান্য খাবারে বিশেষ উপযোগী।
শেরপুরের তুলশীমালা চালের সুনাম ও সমৃদ্ধি শতশত বছর আগের। সম্প্রতি শেরপুর জেলার ব্র্যান্ডিং সুগন্ধি চাল তুলশীমালা। দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা প্রজাতির সুগন্ধি ধানের চাল উৎপাদিত হলেও শেরপুরের সুগন্ধি তুলশীমালা চাল গুন, মান ও সুগন্ধে ভিন্ন রকম।
আমরা অনেক দিন ধরেই কাজ করছি শেরপুরের এই তুলশিমালা চাল নিয়ে। নিজেদের জমিতে চাষ করে নিজের হাতে এই চাল ভাঙ্গিয়ে সারা দেশে সাপ্লাই দিয়ে থাকি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ডেলিভারি দিচ্ছি আমরা। এই চাল তৈরিতে থাকে আমাদের মমতা ও ভালোবাসা। আমরা আপনাকে দিয়ে থাকি হাতে তৈরি ১০০% খাটি ভেজাল বা রাসায়নিক মুক্ত সুগন্ধি তুলশিমালা চাল।
শেরপুরের তুলশিমালা চাল
তুলশিমালা চাল কি?
একমাত্র শেরপুরে উৎপাদিত এই চাল আদিমকাল থেকে শেরপুরের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। শেরপুরের মানুষের মন জয় করে এই চাল এখন সারা দেশে। আগের দিনে শেরপুরে কোন ইংরেজ অথিতি বা জমিদার এলে তাদের এই চালে রান্না করে খাওয়ানো হত। রান্নার পর সুন্দর সুঘ্রান সবার মনকে জয় করে নিতো। অতিথিরা যাবার সময় এই চাল তাদের দেওয়া হতো। এটি মুলত সাধারন চালের চেয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অতীব সুগন্ধি এক ধরনের চাল। আতপ চাল হিসাবে এই চাল দিয়ে আমরা ২৫০ রকমেরও বেশি খাবার বানিয়ে থাকি। সারা বাড়ি জুড়ে যার গন্ধ ছড়িয়ে যায়।
তুলশিমালা ধান
তুলশিমালা চালের বৈশিষ্ঠ্যঃ
এই চাল ছোট ছোট আর আতপ বলে অল্পতেই রান্না করা যায়। তাই জ্বালানি সাশ্রয় হয়।
রান্না করার পর মিষ্টি সুগন্ধ ছড়িয়ে পরে বলে বাচ্চারা খুব আগ্রহ নিয়ে খায়।
খুব সহজে হজম হয়ে যায় তাই ক্ষুধামন্দা থাকলে উপকার পাবেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে এই চালের রান্না খেলে পেটে গ্যাস হবে না।
ভাত খাওয়ার পর অনেকের পেট ভারী হয়ে থাকে। এই চালের রান্না খেলে পেট ভারী হবে না।
একদম ঝড়ঝড়ে তাই কাচ্চি বা অন্যকোন রাইস-আইটেম রান্নায় আপনার প্রথম পছন্দ থাকবে এই চাল।
একদম নিরাপদ। কোন প্রিজারভেটিভ নাই। নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
১০০% হালাল ও নিরাপদ চাল। বাসায় বানানো ১০০% অর্গানিক চাল।
লো-ফ্যাট ও কোলেস্টরেল মুক্ত যা এই চালের প্রধান বৈশিষ্ঠ্য।
খনিজ ও অনান্য উপকারি উপাদান বিদ্যমান এই চালে। এছাড়াও অনেক বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত এই চাল।
তুলশিমালা চালের পোলাও
কেন এই চাল নিবেন?
এই চালের শুরু থেকে আমাদের হাতের পরম মমতা আছে। বাবার হাতে চাড়া লাগানো, মায়ের হাতে ধান ভানানো আর আমাদের হাতে ডেলিভারি। আমরা পরম মমতায় আপনাদেরকে তুলে দিচ্ছি সব চেয়ে বেস্ট তুলশিমালা চাল। আমাদের ড্রিম প্রজেক্ট এটা তাই আমরা আমাদের বেস্টটাই দেওয়ার ট্রাই করি। আমাদের অনেক দিনের ব্যবসা।
ধান শুকানো হচ্ছে
কিভাবে নিবেন?
এক কেজির প্যাকেটে আপনি মিনিমাম অর্ডার করবেন ৫ কেজি। আমরা নারায়নগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। বাকি জেলাগুলোতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারি দিয়ে থাকি। ২/৩ দিনেই কুরিয়ার ডেলিভারি আর হোম ডেলিভারি ২৪ ঘন্টার মধ্যে।
তুলশিমালা চাল
অর্ডারের প্রক্রিয়াঃ
মিনিমাম ৫ কেজি অর্ডার নেওয়া হয়ে। খুচরা ১২০ টাকা প্রতি কেজি দরে। পাইকারি ২৫ কেজির বস্তা ২৫০০ টাকা। পাইকারি নিলে ডেলিভারি চার্জ আপনার। এরপরে বাকি কথা আলোচনায়।